Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Thursday, May 19, 2016

এবার লড়াই ছড়িয়ে পড়ুক গলি থেকে রাজপথে | রাতুল ঘোষ - বর্তমান


কলকাতার তিন প্রধানের গর্ব, ঐতিহ্য ও কৌলিন্যকে এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বঙ্গীয় ফুটবলের শ্মশানযাত্রা ত্বরান্বিত করতে অতিশয় আগ্রহী অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের ধিক্কার জানিয়ে এই লেখা শুরু করছি। ধিক ধিক প্রফুল্ল প্যাটেল। ধিক ধিক কুশল দাস। আপনারা বিড়ির প্যাকেট বাঁধুন। ভারতীয় ফুটবলের সর্বনাশ সাধনের জন্য আপনারা উদ্যোগী না হলেই মঙ্গল। 

১৯৬২ সালে বিধানচন্দ্র রায়ের পর এককভাবে লড়াই করে দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা অর্জন করে পুনরায় বাংলার মসনদে অধিষ্ঠিত হতে চলেছেন অদ্বিতীয়া জননেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আগামী পাঁচ বছরের জন্য বাংলার মানুষ এই রাজ্যের ভালোমন্দের যাবতীয় দায়িত্ব তাঁর হাতে সঁপে দিয়েছেন। একজন ফুটবলপ্রেমী হিসাবে আমার অনুরোধ, এই চরম সংকটের আবর্তে হাবুডুবু খাওয়া বাংলার ফুটবলকে আপনি বাঁচান। ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল প্যাটেলকে আপনি দীর্ঘদিন চেনেন। রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানিও আপনার গুণগ্রাহী। বাংলার লক্ষ লক্ষ ফুটবলপ্রেমীর সেন্টিমেন্টকে মর্যাদা দিয়ে আপনি মোহন বাগান, ইস্ট বেঙ্গল এবং মহমেডান স্পোর্টিংয়ের ভারতীয় ফুটবলের মূল স্রোতে থাকার ব্যবস্থা করুন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে এই রাজ্যের অগণিত ফুটবলপ্রেমী ফেডারেশনের খামখেয়ালি সিদ্ধান্তে কতখানি আহত তা ব্যাখ্যা করে উপরোক্ত দুই ব্যক্তির কাছে চিঠি লিখুন। কলকাতার তিন প্রধানের কর্মকর্তাদের কাছে আমার অনুরোধ, নবনিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজেদের অসহায় অবস্থা জানিয়ে দরবার করুন। নিজেদের অবস্থান চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে অবিলম্বে জমা দিন। যা করার তা একমাত্র এখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীই ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে করতে পারেন। না হলে বাংলার তিন প্রধানের গঙ্গাযাত্রার আয়োজন প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছেন ফেডারেশন কর্তারা। 
শুনলাম, বঙ্গীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা আইএফএ আগামী শনিবার তিন প্রধানের কর্মকর্তাদের নিয়ে মিটিং ডেকেছে। সচিব উৎপল গাঙ্গুলি জানালেন, ‘আগে তিন বড় ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে চাই, সমস্যা কোথায়। এর কোনও সমাধান আছে কিনা। তারপর পেরেন্ট বডি এআইএফএফের কাছে কলকাতার তিন প্রধানের বক্তব্য জানিয়ে চিঠি পাঠাব। বাংলার ফুটবলের স্বার্থে যতদূর যেতে হয় যাব।’
ফেডারেশন ও আইএমজিআর বিরোধী লড়াইটা সোশাল মিডিয়া নেটওয়ার্কেও ছড়িয়ে পড়ুক। দরকার হলে তিন প্রধানের সমর্থকরা ঘেরা মাঠে সমাবেশ করুন। কর্মকর্তারা মঞ্চ, মাইক এবং আনুষঙ্গিক আয়োজনের দায়িত্ব নিন। লড়াইটা পথে-প্রান্তরে, গলি থেকে রাজপথে ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রফুল্ল প্যাটেলদের বুঝিয়ে দিতে হবে- বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি। এখানে দুরভিসন্ধিমূলক দুর্বৃত্তদের কোনও স্থান নেই।

No comments:

Post a Comment