আবার মুখোমুখি সঞ্জয় সেন আর জহর দাস!
সঞ্জয়ের মোহনবাগানের কাছে ২১ মে এই মরসুমে ট্রফি জেতার শেষ সুযোগ।
আই লিগে অবনমনে পড়া জহরের আইজলের কাছে আবার নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণের চ্যালেঞ্জ ২১ মে।
সে দিনই যে ফেড কাপ ফাইনালে মুখোমুখি দুই বাঙালি কোচের টিম।

রবিবার অ্যাওয়ে গোলের ভিত্তিতে স্পোর্টিং ক্লুব-কে হারানোর পর (আইজলে প্রথম পর্ব ০-০ থাকার পর গোয়ায় সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্ব ২-২) আইজল এফসি-র কোচ জহর দাসের হুঙ্কার, ‘‘আমার ছেলেরা যে ফুটবলটা খেলছে, মোহনবাগান ওদের আটকে দেখাক!’’
এ মরসুমে পাহাড়ে আইজলের কাছে হারের ক্ষতটা ষোলো আনা থেকে যাওয়ার কথা বাগানের। ওই ম্যাচ থেকেই তো আই লিগ ডাবল করার স্বপ্নে ধাক্কা খাওয়া শুরু সঞ্জয়ের দলের। বাগান কোচের মাথা শশার মতো ঠান্ডা। কিন্তু সেই সঞ্জয়ও এ দিন ফাইনালিস্ট জানার পরে বললেন, ‘‘ফেড কাপটা আমাদের কতটা প্রয়োজন ছেলেরা সজানে। ফাইনালে প্রতিপক্ষ যে-ই হোক না কেন জিততে আমাদের হবেই।’’
বাগানের কাছে অবশ্য সুখবর, এ দিন সেমিফাইনালে আইজলের পাওয়া একটা ফ্রিকিকে সময় নষ্ট করার অপরাধে জোড়া হলুদ কার্ডের জেরে লাল কার্ড দেখেন দলের অধিনায়ক ডেভিড লালরিনমুয়ানা। যার ফলে ফাইনালে খেলতে পারবেন না তিনি। আইজলের পারফরম্যান্স নিয়ে কী বলছেন সঞ্জয়? যে টিম আই লিগ চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরুকে হারানোর পর গোয়ায় গিয়ে স্পোর্টিং ক্লুবের বিরুদ্ধে দু’গোল দিয়ে ফেড কাপ ফাইনালে পৌঁছেছে! সনিদের কোচ পরিষ্কার বলছেন, ‘‘আজ ম্যাচ দেখা হয়নি। তবে আইজল ভাল টিম। ভাল খেলছে। আই লিগে অবনমন হওয়ার পর ওদের মধ্যে একটা তাগিদ কাজ করছে নিজেদের প্রমা‌ণ করার।’’
মুখে বাগান কোচ যাই বলুন না কেন, শিলংয়‌ে সদ্য সনি-লুসিয়ানো-লেনিরা যে বিশ্রি ফুটবল খেলেছেন, তার পর সঞ্জয়ের কপালের ভাঁজ চওড়া হওয়া স্বাভাবিক। আর আইজলের জেতার জন্য মরিয়া ভাব যে কতটা মারাত্মক হতে পারে সেটাও ভালই জানা আছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের! মোহনবাগান কি পারবে আই লিগের বদলা ফেড কাপে নিতে? সামনে বাঁধা সেই পাহাড়ের দলই!